সু চি'কে মুক্তি দিন : জাতিসংঘ
মিয়ানমারের সামরিকজান্তা দেশটির কারাগার থেকে কয়েক হাজার রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেয়ার পর দেশটির নোবেলজয়ী রাজনৈতিক নেতা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ কথা জানায় রয়টার্স।
মিয়ানমারের সামরিকজান্তা দেশটির কারাগার থেকে কয়েক হাজার রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেয়ার পর দেশটির নোবেলজয়ী রাজনৈতিক নেতা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ কথা জানায় রয়টার্স।
বিশ্ব জুড়ে চলা মহামারীর তাণ্ডবের মাঝে হঠাৎ করেই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সু চি নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করে মিয়ানমারের সামরিকজান্তা। এরপর থেকে দেশটি জুড়ে চলা আন্দোলন মোকাবেলায় অগণিত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। আন্দোলন দমাতে গুলি ও হামলাও চালায় মিয়ানমারের সামরিকজান্তা। এ ঘটনায় অনেক আহত ও নিহতের খবর প্রকাশ পায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।
আন্তোনিও গুতেরেস জানান, আমরা প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং স্টেট কাউন্সিলর সু চিসহ নির্বিচারে আটক সবাইকে যত দ্রুত সম্ভব ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি।
বিবিসি জানায়, বুধবার মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দেশটির বিভিন্ন কারাগার থেকে দুই হাজারেরও বেশি বন্দিকে মুক্তি দেয়। এদের অধিকাংশ মিয়ানমারের সামরিকজান্তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশ নেয়ায় গ্রেফতার হন। এ ছাড়াও আন্দোলনে সামরিকজান্তার অত্যাচার ও নিপীড়নের কথা প্রচারের জন্যও আটক করা হয় অনেক সাংবাদিককে। এদের সবার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র বিরোধী কাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী কাজে উস্কানি দেয়াসহ দেশকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে মামলা দেয়া হয়। বেশ কিছু মামলায় তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
এ ছাড়ার রাষ্ট্রের গোপনতা ভঙ্গ, দুর্নীতি, উপহার গ্রহণ, অবৈধ ওয়ারল্যাস ফোন বা ওয়াকিটকি ব্যবহারসহ রাষ্ট্র বিরোধী কাজের অভিযোগে একাধিক মামলা প্রদান করা হয় সুচির বিরুদ্ধে যার সবগুলো প্রমাণিত হলে এই নোবেল বিজয়ীকে ৪১ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।